খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৪ বৈশাখ, ১৪৩২

পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না: প্রধান উপদেষ্টা

টিএনজে প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:১৮ অপরাহ্ণ
পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না: প্রধান উপদেষ্টা

পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না বলে ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৫’ এর উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা। গত বছরের মতো এবারও সম্মেলনের মূল ভেন্যু রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় তিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের নিজ কার্যালয়ের শাপলা হলে উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এবার ডিসি সম্মেলন শেষ হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার)।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডিসিদের মুক্ত আলোচনা হবে আজ। সন্ধ্যায় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সভা করবেন তিনি। রাতে হবে নৈশভোজ।

এবারের সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে মোট কার্য-অধিবেশন হবে ৩০টি। এছাড়া বিশেষ অধিবেশন হবে চারটি। বিশেষ অধিবেশনগুলোর মধ্যে রয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটি মুক্ত আলোচনা এবং বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গেও একটি সভা হবে। তবে, রেওয়াজ থাকলেও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ডিসিদের সৌজন্য সাক্ষাতের কোনো পর্ব রাখা হয়নি এবার।

এবারের ডিসি সম্মেলন সামনে রেখে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে এক হাজার ২৪৫টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, যার মধ্যে ৩৫৪টি প্রস্তাব কার্যপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন। এ ছাড়াও জনসেবা, জনদুর্ভোগ, রাস্তাঘাট নির্মাণ, আইনকানুন ও বিধিমালা সংশোধন এবং জনস্বার্থের বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এই সম্মেলনে।

শেখ আব্দুর রশীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবারের ডিসি সম্মেলন ঘিরে সবচেয়ে বেশি প্রস্তাব সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সংশ্লিষ্ট; মোট ২৮টি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধান প্রধান আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদারকরণ; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম; স্থানীয় পর্যায়ে কর্ম-সৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন; সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্ন্যান্স; শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ; স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ; পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ রোধ; ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়ের বিষয়গুলো।

ডিসি সম্মেলনে এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন অংশগ্রহণকারী ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনাররা। কার্য-অধিবেশনগুলো ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হলেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে কার্য-অধিবেশন এবং সমাপনী অধিবেশন সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নবনির্মিত ভবনে হবে।

এসব অধিবেশনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব সভাপতিত্ব করবেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টারা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য দিক-নির্দেশনা দেবেন।

আজ প্রথমদিন মোট ছয়টি কার্য অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও আওতাধীন সংস্থাগুলো, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সাথে আলোচনা হবে। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেবেন ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনাররা।

ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয়দিন সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কার্য-অধিবেশনের বাইরে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনার সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এ উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জানা যায়, এদিন খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা হবে।

এছাড়াও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় দুর্নীতি দমন কমিশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা হবে।

ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা হবে।

এছাড়াও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত বিষয়াদি, মন্ত্রিপরিষদ সংক্রান্ত বিষয়াদি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। পরবর্তীতে ফিডব্যাক অধিবেশন ও সম্মেলনের মূল্যায়ন এবং সমাপনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে এবারই প্রথম রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কোনো সৌজন্য সাক্ষাৎ পর্ব থাকছে না জেলা প্রশাসকদের।  এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওনার (রাষ্ট্রপতি) সিডিউলের সঙ্গে মেলেনি।

এছাড়া, এবারের ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি শুরু হবে একটি ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে, যেখানে এই আন্দোলনটা কীভাবে হয়েছিল, কীভাবে আন্দোলনের ফল লাভ হলো, সেই বিবরণ সেখানে থাকবে। বিপ্লবোত্তর আইনশৃঙ্খলার বিষয়টিও উদ্বোধনী দিনেই তোলা হবে বলে জানিয়েছেন শেখ আব্দুর রশিদ।

সরকারের নীতিনির্ধারক এবং জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের মধ্যে সামনা-সামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য সাধারণত প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে এ সম্মেলন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

 

টিএনজে/এএইচ

 

জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত রাখার কৌশল সমর্থন করে না বিএনপি

টিএনজে প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ণ
   
জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত রাখার কৌশল সমর্থন করে না বিএনপি

দল বা গোষ্ঠীস্বার্থে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে হেয় ও অপ্রাসঙ্গিক করার অপচেষ্টায় সময়ক্ষেপণ করে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত রাখার কৌশল বিএনপি সমর্থন করে না বলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবগত করেছে দলটি। আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠকে এ বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

জনগণের স্বার্থরক্ষা ও স্থায়ী কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য গণতান্ত্রিক শাসনের বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেছে বিএনপি। সে কারণে প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) শিগগির ঘোষণার মাধ্যমে জনমনে সৃষ্ট সব বিভ্রান্তি অবসানের আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে লিখিত বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেছে বিএনপি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দীন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমদ ও ইকবাল হাসান মাহমুদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আজ যারা সংস্কারের কথা বেশি বেশি বলে এবং বিএনপিকে সংস্কারের বিপক্ষের শক্তি বলে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা করছে, তাদের ভিশন-২০৩০ এবং রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচিতে যেসব সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে ও যেসব পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে, তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিএনপি মনে করে, সব পরিবর্তনই সংস্কার নয়। সংস্কারের উদ্দেশ্য ইতিবাচক ও গঠনমূলক পরিবর্তন।

এ বিষয়ে বিএনপি সব প্রস্তাব নিয়েই যুক্তিগ্রাহ্য আলোচনাকে স্বাগত জানায় উল্লেখ করে এতে বলা হয়, ‘কিন্তু দল কিংবা গোষ্ঠীস্বার্থ এবং রাজনীতি কিংবা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে হেয় ও অপ্রাসঙ্গিক করার অপচেষ্টায় অযথা সময়ক্ষেপণ করে জনগণকে তাঁদের ভোটাধিকার তথা রাষ্ট্রের মালিকানা প্রতিষ্ঠার অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখার কৌশলকে বিএনপি সমর্থন করে না।

গণঅধিকার পরিষদ ছেড়ে নতুন রাজনৈতিক দলে যুক্ত হচ্ছেন ফাতিমা তাসনিম

টিএনজে প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ
   
গণঅধিকার পরিষদ ছেড়ে নতুন রাজনৈতিক দলে যুক্ত হচ্ছেন ফাতিমা তাসনিম

ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের নতুন রাজনৈতিক দলে সদস্য সচিব হতে যাচ্ছেন ফাতিমা তাসনিম। ইতোমধ্যে তিনি ভিপি নূরের গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য থেকে পদত্যাগ করেছেন।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) তিনি নিজেই পদত্যাগের নিশ্চিত করেছেন। তবে আগেই পদত্যাগপত্রটি ফাতিমা তাসনিম নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন। গত ১৩ এপ্রিল তিনি পদত্যাগপত্রটি দপ্তর সম্পাদকের মাধ্যমে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বরাবর পাঠান।

পদত্যাগপত্রে ফাতিমা তাসনিম লেখেছেন, আমি ফাতিমা তাসনিম ব্যক্তিগত কারণে গণঅধিকার পরিষদ থেকে পদত্যাগ করছি।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তবে নতুন দলের নাম জানা না গেলেও অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ছাড়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

নতুন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলা হয়, অপার সম্ভাবনাময়ের দেশ-বাংলাদেশ আজ নতুন এক রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। জুলাই ২৪-এর ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ অভ্যুত্থানে, মহান শহীদদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হয়েছে, সূচনা হয়েছে নতুন রাজনৈতিক ধারা। ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন. ‘৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই ২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মহান শহীদদের আত্মত্যাগের চেতনাকে ধারণ করে বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে জনআকাঙ্ক্ষার প্রতি দায়বদ্ধতায় গণতান্ত্রিক ধারাকে এগিয়ে নিতে আমরা নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। আত্মপ্রকাশের শুভ এই দিনে আপনার উপস্থিতি একান্তভাবে কামনা করছি।

প্রসঙ্গত, রফিকুল আমীন ডেসটিনি গ্রুপ ছাড়াও বৈশাখী টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং দৈনিক ডেসটিনির সম্পাদক। অর্থ পাচার ও ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা দুটি মামলায় দীর্ঘ সময় কারাভোগ করেন তিনি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

সামাজিক সংগঠন “আকজ” এর আয়োজনে মজলুম ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

মোস্তাফিজুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:০৯ অপরাহ্ণ
   
সামাজিক সংগঠন “আকজ” এর আয়োজনে মজলুম ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

গত ১১ এপ্রিল ২০২৫ইং, শুক্রবার, জাতীয় প্রেসক্লাবে সামাজিক সংগঠন আকজ এর আয়োজনে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনীর নৃশংসতার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের সমর্থনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক লায়ন নুরুজ্জামান হীরার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ও আলোচিত চিত্রনায়ক জনাব রাসেল মিয়া।

এ সময় সামাজিক সংগঠন আকজের প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টা জনাব মনিরুল ইসলাম মনির।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চলচ্চিত্র অভিনেতা রাসেল মিয়া, ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরায়েলের ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানান। আকজ এর এই মানবিক আয়োজনের প্রশংসা করে রাসেল মিয়া বলেন, পৃথিবীর সকল মুসলমান রাষ্ট্র এক হলে ফিলিস্তিনের উপর ইজরাইলি বর্বরতার উচিত জবাব দেওয়া সম্ভব, তাই আমাদের এখনই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলেও জানান তিনি।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বাংলাদেশ সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টা জনাব মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, ফিলিস্তিনে যে মানবিক সংকট তৈরী হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ইসরায়েলের হানাদার বাহিনী ফিলিস্তিনে হামলা চালাচ্ছে, শিশুদের হত্যা করছে যার কারন বিশ্ব বিবেক আজ লাইভ সাপোর্টে।

সভাপতির বক্তব্যে বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব এই হামলা থামাতে না পারলে পদত্যাগ করুক। এসময় সারা পৃথিবীর মুসলমানদের এক হয়ে ইসরাইলি গণহত্যার নিন্দা জানান তিনি।

মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতা বাদল চৌধুরী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সন্মানিত মহাসচিব জনাব মোক্তার হোসেন।

আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব গাজী আক্তার, জনাব আরিফুল ইসলাম আরিফ, পলাশ , আলমগীর চৌধুরী, রাইট টক বাংলাদেশের সভাপতি আল আমিন এম তাওহীদ সহ অন্যান্যরা।

 

টিএনজে/এএইচ