অসুস্থ আওয়ামী লীগ নেতাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যা চেষ্টা

বরগুনায় অসুস্থ আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে৷ বরগুনা সদর উপজেলার ৫নং আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমানের বাড়িতে এঘটনা ঘটে৷ এসময় দীর্ঘদিন বিছানায় অসুস্থ থাকা মাহবুবুর রহমানকে তুলে নিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ১৯ মার্চ রাতে মাকসুদা বেগম আখি (৪৫), তার ছেলে আমির হোসেন রঞ্জু (২৫), খুশি বেগম (৫০), তার ভাই হারুন উর রশিদ (৬০) ও তার ছেলে মো: মনির আকন (৩৫) এবং নজরুল ইসলাম (৫০) দলবল নিয়ে হামলা করে৷ এসময় ঘরের ভেতরে আলমারি ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ জমির দলিল, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়৷ এ ঘটনার পরে ২১ ও ২২ মার্চ পুনরায় তারা দলবল নিয়ে ৩য় বার হামলা করে৷ হামলার সময় অসুস্থ আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী নাসরিন বেগম ও মেয়ে ইশরাত জাহান লাবনীকে মারধর ও লাবনীর ছেলে মো: ইয়ামিন (৪) কে কিডনাপের চেষ্টা করে৷ পরে ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগ করে।
ঘটনার সময় ভুক্তভোগীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে মাহবুবুর রহমানের বউ ভুক্তভোগী নাসরিন বেগম বলেন, “আমাদের সঙ্গে হারুন অর রশিদ এবং মাকসুদা বেগম আখির সঙ্গে পুর্বশত্রুতা ছিল। আমার স্বামী আওয়ামী লীগ করার অপরাধে ২০১০ সালে আমাদের ওপর তারা হামলা করেছিলো। তখন উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানিও করেছিলো। সেই থেকে হারুন অর রশিদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলছে৷ ৫ আগস্টের পরে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং লুটপাট করে হারুন অর রশিদের ছেলে মনির আকন৷ তখন আমার স্বামী ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধিন ছিলো। পরে এখন তিনি সুস্থতার পথে এজন্য মনিরের আপন ফুফু আখি বেগম, খুশি বেগম ও হারুন এদের যোগসুত্রে আমার স্বামীকে হত্যার চেষ্টা করছে৷ আমরা স্বামী আওয়ামী করেছে এটাই আমাদের অপরাধ ছিলো৷ সেজন্য এখন বাড়িঘরে হামলা করে সব লুটপাট করে নিয়ে গেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় পনু আকনের স্ত্রী দিলারা বলেন, “পর পর ৩ দিন মাকসুদা বেগম আখি ও খুশি বেগমের নেতৃত্বে মাহবুবুর রহমানের বাড়িতে হামলা করে৷ ঘটনার সময় তাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে৷ এসময় ডাক চিৎকার শুনে আমরা এসে দেখি বাড়িঘরে হামলা করে ভাংচুর করছে, আলমারির ভেতর সব কাগজপত্র লুট করে। পরে আখি বেগমের ছেলে রঞ্জু আমাদের কেউ স্বাক্ষী দিলে তাকে আওয়ামী লীগ বলে পুলিশে দেবার ভয় দেখান।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সোলায়মান খান বলেন, “মাকসুদা বেগম আঁখি ও খুশি বেগমের নেতৃত্বে হামলা করে। পরে বাড়ির ভেতরে মহিলা ও শিশুদের ডাক চিৎকার শুনতে পেলে, আমরা বাড়ির ভেতরে যাই। তখন দেখি আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমানকে মারধোর করে ঘর থেকে বের করে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তারা পরপর তিনদিন একই স্টাইলে হামলা করে।
এদিকে এঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী পরিবার আতংকে এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এছাড়া মাহবুবুর রহমানের জীবন নিয়েও শংস্কায় রয়েছে
টিএনজে/এএইচ
আপনার মতামত লিখুন